ড. মো. মাইন উদ্দিন , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন। ২০১২ সালে জাপানের তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্ষুদ্রঋণ ও দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যাংক খাতের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দিদারুল হক।

জুলাই অভ্যুত্থান-উত্তর দেশের ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি কেমন দেখছেন?

বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর অনুধাবন করেছে যে দেশের ব্যাংক খাত ভালো নেই। দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হলেও দেশে এখনো অনেকেই ব্যাংক সেবার বাইরে। এতে ব্যাংক সেবার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। আবার এক ব্যাংকের সঙ্গে আরেক ব্যাংকের অসম প্রতিযোগিতা হচ্ছে। ব্যাংক বেশি থাকায় ব্যাংকগুলো যেমন একদিকে সমস্যায় পড়েছে, অন্যদিকে কিছু ব্যাংকে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। বর্তমান সরকার দেখল যে ব্যাংক খাতে যদি আস্থার অভাব থাকে তাহলে দেশের অর্থনীতি খুব সংকটের মধ্যে পড়ে যাবে। এ দেশে অর্থায়নের মূল কাজটি হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। সুতরাং ব্যাংক যদি ঠিকভাবে না চলে এবং ব্যাংকের প্রতি মানুষের অনাস্থা দেখা দেয়, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত। এজন্য সরকার ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রথমেই তারা দুর্বল ও খারাপ ব্যাংকগুলোকে কিছু তারল্য সহায়তা দিয়েছে, যাতে তারা কিছুটা হলেও গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখতে পারে। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান নয়। টাকা ছাপিয়ে ব্যাংককে অর্থ সহায়তা দেয়া হলে অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অর্থনীতিতে টাকার পরিমাণ বেড়ে গেলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। বর্তমানে অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। সরকারের উচিত দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে নিয়ে আসা। সরকারি-বেসরকারি-ইসলামিক—এতগুলো ব্যাংকের দরকার নেই। অধিগ্রহণ ও একত্রীকরণের মাধ্যমে ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে, ব্যাংকের সংখ্যা কমালেও ব্যাংকের যেসব জায়গায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়, সেসব জায়গায় ব্যাংক সেবার উপস্থিতি যেন থাকে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ব্যাংকের সংখ্যা কম হলেও প্রতিটি ব্যাংকের প্রচুর শাখা আছে। আমাদের দেশে ব্যাংকের সংখ্যা বেশি থাকলেও অনেক ব্যাংকের পর্যাপ্ত শাখা নেই। ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে এনে শাখার বিস্তার ঘটাতে পারলে তখন ব্যাংকের জন্য সুবিধা। কোনো কোনো শাখায় অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারে। আবার কোনো কোনো শাখা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য মুনাফা অর্জন না করেও চালাতে হতে পারে। এ রকম কৌশলের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো সামনের দিকে অগ্রসর হলে ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।

বাংলাদেশে কোনো সরকারই ব্যাংককে দেউলিয়া হতে দেয় না কেন? দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার পলিসি কতটুকু ইতিবাচক ব্যাংক খাতের জন্য?

আমাদের ভঙ্গুর ও ছোট অর্থনীতিতে মানুষের আর্থিক শিক্ষণ কম। তাই সরকার কখনই চায় না কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাক। যেকোনো ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ কারণে বাংলাদেশে কোনো ব্যাংককে দেউলিয়া হতে না দিয়ে একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। আমেরিকায় প্রতিনিয়ত ব্যাংক ব্যর্থ হয়। সেখানে ব্যাংক ব্যর্থ হলে গ্রাহককেও কিছু দায় নিতে হয়। কারণ আমাদের দেশের জনগণের যেমন আর্থিক শিক্ষণ কম, তেমনি কোনো সরকারেরই ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে তা ম্যানেজ করার অভিজ্ঞতা নেই। আমাদের বীমা সুরক্ষা আইন আছে। কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হলে একজন গ্রাহক তা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে। বর্তমানে সেটি ২ লাখ টাকায় উন্নীত করা প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে ব্যাংকের প্রায় ৯৫ শতাংশ গ্রাহক তাদের ক্ষতিপূরণ পাবেন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। বর্তমান সরকার ব্যাংক খাতকে ভালো করার যে উদ্যোগগুলো নিয়েছে, সেগুলো ভালো। ভবিষ্যতে এ উদ্যোগগুলো দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে।

বর্তমানে ব্যাংক খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জ খেলাপি ঋণ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় কী?

খেলাপি ঋণ একদিনে কমিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। যারা ঋণ নিয়ে ইচ্ছা করে খেলাপি হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যাদের কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নেই বা ভুয়া ব্যবসা-বাণিজ্যের নামে ঋণ নিয়ে সে টাকা ফেরত দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। আর যারা চেষ্টা করার পরও ঋণ পরিশোধ করতে পারে না, তাদের কাছ থেকে আইনের বাইরে গিয়ে বিকল্পভাবে ঋণ আদায় করতে হবে।

বাংলাদেশে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমানো সম্ভব। চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গঠন করে খেলাপি ঋণ যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো তাদের খেলাপি ঋণ সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির কাছে একটি নির্দিষ্ট দামে বিক্রি করে দেবে। এক্ষেত্রে ঋণগুলো মূল্যায়নের জন্য রেটিং কোম্পানিগুলোকে আরো বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। আবার এখানে বীমা কোম্পানির একটি ভূমিকা থাকে। অর্থ উদ্ধার করতে না পারলে বীমা কোম্পানিগুলো ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য এগিয়ে আসবে। তবে এটি একটি সামগ্রিক সহযোগিতার বিষয়। আর আমাদের দেশে বীমা কোম্পানির সে সক্ষমতা আছে বলে মনে করি না। আবার ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি অনেক আছে। কিন্তু তাদের রেটিংয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন আছে। সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। চীনের সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গঠন করার পর সেই কোম্পানিকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। তাদের কাজে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে সরকারের ম্যান্ডেট বা নির্দেশের প্রয়োজন হয়। ঋণখেলাপি যারা বা যে দলেরই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সরকার কোম্পানির কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করেনি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে তখন অনেক রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকে, সরকারের কাছের লোকজন বা পরিচিত লোকজন ঋণখেলাপি হলে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কতটুকু ব্যবস্থা নেবে সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এটি আমাদের ব্যাংক খাতের জন্য বড় আশঙ্কা। তবে সরকারের সদিচ্ছা থাকলে দীর্ঘমেয়াদে হলেও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা সম্ভব। ব্যাংক খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। ভবিষ্যতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে ব্যাংকের বোর্ডকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। বোর্ড নীতি গ্রহণ করবে এবং সেই নীতি বাস্তবায়ন করবে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটি। বাংলাদেশে যেসব অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যাংকার রয়েছেন তাদের যদি কাজের স্বাধীনতা দেয়া হয় এবং তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে ঋণ প্রস্তাব মূল্যায়ন করতে দেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ এত বাড়বে না।

ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন?

পৃথিবীর কোথাও দীর্ঘমেয়াদি এবং বড় ঋণ ব্যাংক থেকে নেয়া হয় না। এসব ঋণ নেয়া হয় শেয়ার ও বন্ড মার্কেট থেকে। কিন্তু বাংলাদেশের চিত্র বরং উল্টো। বড় বড় শিল্প-কারখানা ব্যাংক থেকেই দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীলতার কারণেই শেয়ার মার্কেট বিকশিত হচ্ছে না। দেশের ব্যাংক খাত থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে শেয়ার ও বন্ড মার্কেট বিকশিত করতে হবে। এতে ব্যাংকের ওপর চাপ কমবে। ব্যাংক তখন তাদের ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ভালোভাবে করতে পারবে।

ব্যাংক খাতে সুশাসন ও শৃঙ্খলা কীভাবে ফেরানো যায়? বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত নীতি ফল দিচ্ছে কী?

বিগত সরকারের সময়ে ব্যাংকের অবস্থা খারাপ ছিল, সেটা সবাই জানত। কিন্তু এত খারাপ ছিল সেটা আমাদের জানা ছিল না। এ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিগত সরকারের একের পর এক তথ্যগত মিথ্যাচার উন্মোচিত হয়েছে। বিগত সরকারের খেলাপি ঋণ, মূল্যস্ফীতি ও জিডিপির তথ্য ভুয়া ছিল। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তথ্যগুলো অন্তত সঠিক পাওয়া যাচ্ছে। ব্যাংক খাতের নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসার পর দেখা যাচ্ছে এ খাতের অবস্থা আরো ভয়াবহ। সেই অবস্থা থেকে এখন যে অবস্থায় ব্যাংকগুলোকে নিয়ে আসা হয়েছে, সেটি অবশ্যই ব্যাংক খাতের জন্য ইতিবাচক।

যদি কোনো ব্যাংকের ৯৫ শতাংশ খেলাপি ঋণ থাকে, সে ব্যাংককে টেনে তোলা সম্ভব নয়। তার পরও এ সরকার সে ধরনের একটি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে এভাবে চালিয়ে নেয়া ঠিক হবে না। কারণ দুর্বল ব্যাংকগুলো চলতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। বর্তমান সরকার টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ব্যাংক সংস্কারের জন্য অনেক ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য যে সময় প্রয়োজন সেই সময় এ সরকার পাবে না। এগুলোর বাস্তবায়ন নির্ভর করবে পরবর্তী সরকারের সদিচ্ছার ওপর।

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ। যখন একটি দেশ অনুন্নত থাকে, সে দেশে কিছুটা আর্থিক বিশৃঙ্খলা থাকে। আর্থিক শৃঙ্খলার সংস্কৃতি গড়ে ওঠে পরিবার ও বিদ্যাপীঠ থেকে। তবে আমরা যা শিখছি, সমাজে তার প্রতিফলন না থাকলে সেই শিক্ষা বেশি কাজে আসবে না। তাই ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা আনতে হলে পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি সমাজে এর চর্চাও থাকতে হবে। সর্বোপরি আর্থিক শৃঙ্খলার জন্য সুশাসনের চর্চা অতি জরুরি।

ব্যাংক খাতে আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতের কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন?

প্রথমত, যারা ব্যাংক খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে তাদের দৃশ্যমান শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা দরকার। এটা করা গেলে ভবিষ্যতে ঋণখেলাপি হওয়ার চিন্তায় যারা আছেন তারা একটি কড়া বার্তা পাবেন। তারা অনুধাবন করতে পারবেন ঋণখেলাপি হলে শাস্তি পেতে হবে। বিশেষ আদালত গঠন করে সেখানে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করতে হবে যাতে আর্থিক অনিয়মের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। আদালত যেন ঋণখেলাপিদের নিরাপদ আশ্রয়ের জায়গা না হয়ে ওঠে। ইচ্ছাকৃত শীর্ষ ঋণখেলাপিদের কয়েকজনকে বিচারের আওতায় নিয়ে এলে পরবর্তী সময়ে আমাদের খেলাপি ঋণ এভাবে বাড়বে না। পরিচালনা পর্ষদের কেউ আর্থিক অনিয়মে জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কোনো কোনো ব্যাংকারও আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ থেকে বড় অংকের অর্থ পাচার হয়েছে। অর্থ পাচার রোধে অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় কী?

পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা খুব জটিল। দুই দেশের আইন দুই রকম। দুই দেশ রাজি থাকলেও আইনি জটিলতায় অনেক সময় অর্থ ফেরানো সম্ভব হয় না। অর্থ ফিরিয়ে আনতেও অনেক সময়ের প্রয়োজন। তবে অর্থ পাচার হয়ে যাওয়ার পর সেটি উদ্ধার করার চেয়ে অর্থ পাচার যাতে না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশের অর্থ পাচারের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্তমানে দেশে অর্থ পাচারের বেশির ভাগ ক্ষেত্রই চিহ্নিত। এসব ক্ষেত্র দিয়ে অর্থ পাচার ঠেকাতে হবে।

সূত্র, বণিক বার্তা