শিবিরকে অত্যন্ত ধৈর্য ও পরিপক্বতার সাথে সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। কারণ, অনেক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টাও চালানো হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন শব্দ যুক্ত হয়েছে। তা হলো- ‘গুপ্ত রাজনীতি’। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর আন্দোলনের ভেতরের কৌশল, বিভিন্ন দল ও ব্যক্তির অবদান ইত্যাদি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে এই ‘গুপ্ত’ শব্দটিও রাজনীতিতে আসতে থাকে। অভ্যুত্থান সফল করার তাগিদে এই ‘গুপ্ত রাজনীতি’ অত্যন্ত সফল কৌশল হিসেবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হলেও বর্তমানে তা একটি নেতিবাচক বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার করার পাঁয়তারা চলছে। বিপ্লবের সফল ছাত্রসংগঠনগুলোর একটিকে এখন ঘায়েল করার লক্ষ্যে তাদের গায়ে ‘গুপ্ত রাজনীতি’ চর্চার ট্যাগ লাগিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। কিছু রাজনৈতিক দল এবং মিডিয়া একযোগে এই সম্মিলিত অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০০৯ সাল থেকে এদেশের ইসলামী গোষ্ঠীকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রকল্প হাতে নেয়। মূলত এটি ভারতরেই প্রকল্প যা হাসিনার মাধ্যমে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করে। ভারতের বাংলাদেশ নীতির মৌলিক উপাদান হলো বাংলাদেশে ইসলামী গোষ্ঠীকে কোণঠাসা করে রাখা। তারই আলোকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোকে দমন করা শুরু করে। এর প্রথম শিকার হয় ইসলামী ছাত্রশিবির। শিবির নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, গুম-খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ করে ফেলা হয়।
শিবির ‘স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গি, পাকিস্তানপন্থী’ ইত্যাদি সব ন্যারেটিভ ও ট্যাগ দিয়ে শিবির নেতাকর্মীদের হত্যাযোগ্য করে তোলা হয়েছিল। ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে বিশ্বজিৎ নামের হিন্দু যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো ‘ছাত্রশিবির’ সন্দেহে মারধর করে ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আহত ছাত্রকে থানায় সোপর্দ করে। বাসাবাড়ি, ছাত্রাবাস, এমনকি চলন্ত বাস থেকে শিবির নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উঠিয়ে নিয়ে গুম করে। শিবিরকর্মীকে র্যাব-পুলিশের গাড়ি থেকে ফেলে ‘হত্যা’ করে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়েছে। ছাত্রদের আবাসস্থলে মেসে পড়ার টেবিলে কুরআন-হাদিসের বই পেলে তাদেরকে শিবির বলে গ্রেফতার করা হয়েছে। দাড়ি-টুপিওয়ালা কয়েকজন মিলে গল্প করলে বা আড্ডায় বসলে নাশকতায় লিপ্ত শিবির বলে গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে শিবির নেতাকর্মীদের চলাফেরা বা স্বাভাবিক নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যক্তিগত কার্যক্রমকেও গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখত।
সাধারণত শিবিরের কার্যক্রম শুধু রাজনীতি বা রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। রাজনৈতিক অনুষ্ঠানাদি তাদের অজস্র কার্যতালিকার একটি দফা মাত্র। তাদের মূল কাজটি হলো শিক্ষার্থীদেরকে আলোর পথে ডাকা, তাদেরকে প্রকৃত দ্বীনের পথে নিয়ে আসা। শিক্ষার্থীদেরকে একজন ভালো মানুষ, ভালো নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। তাছাড়াও তাদের রয়েছে নিজেদের আত্মগঠন ও ক্যারিয়ার তৈরির কাজ; সর্বোপরি রয়েছে ছাত্রসমাজের জন্য কল্যাণধর্মী কর্মসূচিসমূহ। কাজেই এসব অরাজনৈতিক কাজ তাদেরকে সর্বাবস্থায়ই চালু রাখতে হয়। আমাদের নবীজী সা: কল্যাণকর সমাজ ও জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়েছেন। কল্যাণকর কাজ সম্পাদন করার ক্ষেত্রে গত ১৬ বছর শিবিরের জন্য ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং। কাজেই তাদেরকে বিভিন্ন কৌশলে ক্যাম্পাসগুলোতে টিকে থাকতে হয়েছে। নামে-বেনামে, ছদ্মনামে ক্যাম্পাস বাস্তবতার আলোকে সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কৌশল করে শিবিরকে সাধারণ ছাত্রদের আহ্বানের কাজগুলো করতে হয়েছে। কিন্তু এই পথচলা ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু শিবিরকর্মী সন্দেহে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগাররা পিটিয়ে হত্যা করে ফেলেছে।
শিবিরের এই ছদ্মবেশী তৎপরতার সবচেয়ে বড় সুফল এসেছে ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে। এই অভ্যুত্থানে সমন্বয়করা সামনে থেকে একেকটি ফিগার হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পর্দার আড়ালে থেকে এই আন্দোলনকে সফল করে তোলার জন্য জন্য বুদ্ধি, পরামর্শ, জনবল, লজিস্টিক, নিখুঁত কো-অর্ডিনেশন ইত্যাদি জুগিয়েছে শিবির নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিপ্লব-পরবর্তী কোনো সুবিধাই তারা গ্রহণ করেনি। অবশ্যই আন্দোলনের সাথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও শক্তভাবে যুক্ত ছিল। আন্দোলনের স্বার্থেই শিবিরের নেতারা সামনে থাকা থেকে নিজেদের নিবৃত্ত রেখেছেন। সরাসরি শিবির জড়িত থাকলে হয়তো বা ফ্যাসিস্টরা আন্দোলনকে ভিন্নভাবে মোকাবেলার সুযোগ পেতো। কাজেই এখানে শিবির ‘গুপ্ত রাজনীতি’ করেই দেশ ও জাতির জন্য বিজয়ের পথকে সুগম করেছে। কারণ, গত ১৬ বছর সরকার, ক্ষমতাসীন দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং চিহ্নিত মিডিয়া গোষ্ঠী শিবিরকে দানবায়ন করেছিল বা হত্যাযোগ্য অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ফলে শিবিরের অদৃশ্য হয়ে তৎপর থাকা ছাড়া কোনো বিকল্প স্পেস ছিল না।
বিপ্লব সফলের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে শিবিরের আদর্শিক ও ছাত্রকল্যাণমূলক কার্যক্রম প্রকাশ্যভাবে শুরু হয়। সাথে সাথে তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা অর্থাৎ ‘ডাকসু’ নির্বাচনে অংশগ্রহণের তৎপরতাও শুরু করে। গত এক বছর ইসলামী ছাত্রশিবির অসংখ্য অনুষ্ঠান করেছে ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, মন্দির পাহারা, ত্রাণ বিতরণ, রোজায় ইফতার বিতরণ, কোরবানির সময় ঈদের দাওয়াত খাওয়ানো, ৩৬ জুলাইয়ের মনোমুগ্ধকর আয়োজন ইত্যাদির মাধ্যমে শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে গত এক বছরে একটি স্থান করতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো- যখনই ‘ডাকসু’ নির্বাচনের শিডিউল দেয়া হলো তখনই শিবিরকে ‘গুপ্ত রাজনীতির’ ট্যাগ দেয়ার চতুর্মুখী প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানে শিবিরের কৌশলী অবদানকেও এখন ‘গুপ্ত’ বলে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে!
শিবিরের কার্যপরিধি এত বিস্তৃত ও ব্যাপক যে, কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াই তাদের অসংখ্য ধরনের কাজ রয়েছে। আত্মগঠন, দাওয়াত, ক্যারিয়ার গঠন, প্রকাশনা, পাঠাগার কার্যক্রম, মোটিভেশন প্রোগ্রাম, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ত্রাণ বিতরণ, ছাত্রকল্যাণ- ইত্যাদি বহুবিধ কাজ নিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে থাকে। কাজেই শিবিরের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ থাকলেও তাদের অন্যান্য তৎপরতা ঠিকঠাকভাবেই চলতে পারে। এটিই কি তাহলে ‘গুপ্ত রাজনীতি’? আসলে যখন আদর্শ দিয়ে মোকাবেলা করা সম্ভব না হয়, তখনই এ ধরনের ট্যাগের চর্চার প্রয়োজন হয়। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার আদর্শ এবং কৌশলের কাছে হেরে যাবে বলেই সন্ত্রাসের মাধ্যমে শিবিরকে মারজিনালাইজড করে রেখেছিল। একইভাবে ফ্যাসিস্ট পতনের পর ক্যাম্পাসে শিবিরের সাথে স্বাভাবিক কার্যক্রমে কুলিয়ে উঠতে না পেরে শিবিরকে ‘গুপ্ত রাজনীতির’ ট্যাগ দেয়া হচ্ছে। এই ট্যাগিংয়ের লীলায় যুক্ত হয়েছে কিছু মিডিয়া ও ইউটিউবার। সেই মিডিয়াগুলো শিবির বিরোধী কিছু আলোচককে নিয়ে একতরফাভাবে শিবিরের ‘গুপ্ত রাজনীতি’র বয়ান ছড়াচ্ছে।
গুপ্ত রাজনীতিকে ইংরেজিতে বলা হয়- ঝবপৎবঃ চড়ষরঃরপং বা গোপন রাজনীতি। প্রাচীন কালের ইতিহাসে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকেই বলা হতো ‘গুপ্ত রাজনীতি’; যার অনুশীলন হতো নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে। শীতল যুদ্ধকালে সিআইএ, কেজিবি, এমআই সিক্স, ইত্যাদি কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গুপ্ত রাজনীতির চর্চা করেছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ বর্তমানে আমাদের দেশে ও বিশ্বে গুপ্ত রাজনীতি করে চলছে। তবে আধুনিক ধারণায় গুপ্ত রাজনীতি হয়ে থাকে দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে। আর একটি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলগুলো দেশ ও জাতির কল্যাণে গুপ্ত রাজনীতি করতে পারে, তবে তা অবশ্যই হতে হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে এবং জনকল্যাণে। তা কোনোভাবেই অপরাধমূলক, দুর্নীতিপরায়ণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক হতে পারবে না।
প্রকৃতপক্ষে ইসলামী ছাত্রশিবির কোনো গতানুগতিক রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন নয়। এটি একটি সামাজিক আন্দোলনের নাম। ছাত্রদেরকে সুনাগরিক করে গড়ে তোলা এবং ছাত্রসমাজের কল্যাণে কাজ করাই এই আন্দোলনের লক্ষ্য। এরা নিজেদেরকে চরিত্রবান করে গড়ে তোলার পাশাপাশি পাশের ছাত্র ভাইটিকেও চরিত্রবান, আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করে থাকে। তারা ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরির পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠন করে সমকালীন বিশ্বের যোগ্য নাগরিক করে গড়ে তোলার প্রয়াস চালায়। সেই জন্য ছাত্রদেরকে তারা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয় এবং জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে বা তাকে পর্যবেক্ষণ করে অন্য যেকোনো ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীর তুলনায় ব্যবধান সহজেই বুঝা যায়। শিবিরের একজন কর্মী মারামারি, চাঁদাবাজিতে জড়ায় না, এমনকি এরা ধূমপানও করে না; বরং নিজেরা লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্য ছাত্রকে পড়ালেখায় মনোযোগী হতে এবং কুরআন-হাদিস চর্চায় উৎসাহিত করে থাকে। এটিকেই শিবির জিহাদ মনে করে।
এভাবে আজকে স্বাধীন পরিবেশে যখন শিবির নেতাকর্মীরা, তাদের আকর্ষণীয় চরিত্র, বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা, স্মার্ট পদচারণা, জনপ্রিয় অনুষ্ঠানাদি আয়োজন, ছাত্রবান্ধবকার্যক্রম করে সাধারণ ছাত্র-জনতার হৃদয়ে স্থান করে নিচ্ছে; শিবিরের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা যখন ক্যাম্পাসগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে উঠছে; যখন আসন্ন ‘ডাকসু’ নির্বাচনে শিবির ভালো ফলাফল করার প্রত্যাশা করেছে, ঠিক তখনই শিবিরকে ‘গুপ্ত রাজনীতি’র ট্যাগ দেয়া হচ্ছে। পুরনো আওয়ামী বয়ান ‘স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি’, ‘যুদ্ধাপরাধী দল’ ইত্যাদি বস্তাপচা স্লোগান অকার্যকর হয়ে পড়েছে বিধায় এখন নতুনভাবে ‘গুপ্ত রাজনীতি’ ট্যাগ দিয়ে শিবিরকে ঘায়েল করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন।
দিন শেষে ‘ডাকসু’ নির্বাচনের ফলাফলেই বিরোধীদের অপরাজনীতির কার্যকারিতা বুঝা যাবে। শিবির গতানুগতিক ফরম্যাট থেকে বের হয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ‘ছাত্র ঐক্যের’ প্যানেল দিয়েছে। এই প্যানেলকে মোকাবেলা করার জন্য বিরোধী পক্ষের কৌশল কী হয় তার ওপরই ফলাফল নির্ভর করবে। আর সুষ্ঠু ভোট হতে পারলে যথেষ্ট প্রতিদ্বদ্বিতা
হবে যা হতে পারে জাতির নতুন গণতন্ত্রের সূচনাবিন্দু। তবে আশঙ্কাও রয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি ছাত্রসংগঠন কর্তৃক পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচন-পূর্ববর্তী জরিপ এবং পরিবেশে শিবিরের জয়ের সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি হলে হয়তো বা কোনো না কোনোভাবে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা হতে পারে। অনেকে মনে করেন, সেটি হতে পারে কোনো সন্ত্রাসী অঘটন ঘটিয়ে নাশকতার মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো অজুহাত উত্থাপন করে। কাজেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সর্বোপরি সরকারকে ক্যাম্পাস নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। আর শিবিরকে অত্যন্ত ধৈর্য ও পরিপক্বতার সাথে সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। কারণ, অনেক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টাও চালানো হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক