বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারক ও দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। বিনিয়োগকারীর সবচেয়ে বড় যত চাহিদা হলো- ‘নীতি ও নিরাপত্তার স্থিতিশীলতা’। আজকের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগ মানে শুধু টাকা আনা বা টাকা খাটানো নয়। বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি হস্তান্তর, মানসম্পন্ন পণ্য ও পরিষেবার উন্নয়ন এবং বৈদেশিক বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ তৈরি হয়। এ জন্য জাতি হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সহনশীল হতে হবে। এ দেশে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সরকার ‘ব্র্যান্ড প্রটেকশন স্কিম’ চালু করতে পারে, যেখানে বিদেশী ব্র্যান্ডগুলোকে নির্দিষ্ট অঙ্কের বিনিময়ে একটি সরকারি ঝুঁকি-নিরাপত্তা সেবা দেয়া হবে। একই সাথে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) উদ্যোগে চার দিনের (৭ থেকে ১০ এপ্রিল) বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সম্মেলনে প্রায় সাড়ে ৪০০ বিদেশী বিনিয়োগকারী অংশ নেন। তারা দেশের তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘুরে দেখেন। বিনিয়োগ পরিবেশেরও খোঁজ নেন। সম্মেলনে ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগে সমঝোতা চুক্তি করেছে চীনা একটি প্রতিষ্ঠান। আর এ সম্মেলনে স্টার্টআপ কোম্পানি শপআপের ১১ কোটি ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ পাওয়ার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া একাধিক বিদেশী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা, জুলাই বিপ্লবের পর সংঘটিত অর্থনৈতিক সংস্কার তুলে ধরা এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পাইপলাইন তৈরির লক্ষ্যে বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিনিয়োগকারী, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নির্বাহী ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নেন। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী দিনের বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো কী হতে পারে তা পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি সম্মেলনে আমাদের বিনিয়োগ ও উন্নয়নে কী কী সমস্যা রয়েছে তাও উঠে এসেছে।

এ দিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে আগামী মাসে ২০০ বিনিয়োগকারীসহ চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে জানিয়েছেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান। দুবাইভিত্তিক কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ড চট্টগ্রামের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আর বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে সম্মেলন আয়োজকরা জানান।

আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাত যেমন তৈরি পোশাক, ডিজিটাল অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা, সেমিকন্ডাক্টর এবং কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। সম্মেলনে দেশীয় উদ্যোক্তারা অংশ নেন। তার মাধ্যমে দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে সুযোগ তৈরি হয়। সম্মেলনে এ দেশে কোরিয়ার বিনিয়োগকারী ও ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশের শিল্প খাতের বিকাশ, বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক আয়ে অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। আশির দশকে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম বিদেশী বিনিয়োগকারী। আয়োজকদের মতে একজন বিদেশী বিনিয়োগকারীকে সম্মানিত করার মাধ্যমে অন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে এ সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ আর একটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা হলো- তিনটি রাজনৈতিক দলের সাথে বিনিয়োগকারীদের মিথস্ক্রিয়ার জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা। এতে করে বিনিয়োগকারীরা এসব সংস্থা ও দলের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অবস্থান জানার সুযোগ পান।

বিডার সূত্রে জানা যায়, সম্মেলনে আগত বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগ প্রশ্ন ছিল ব্যবসায় ও বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে। বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন, এ দেশে বিনিয়োগের বড় বাধা নীতি-ধারাবাহিকতার অভাব। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সমন্বয়হীনতা, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, শুল্ক-কর, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যাও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করে। এসব বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা সরকারের অবস্থান জানতে চান।

এক ব্রিফিংয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, চীনের পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশে ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। তাদের সাথে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এর মাধ্যমে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। সম্মেলনে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের যে যে পণ্যের প্রতি আগ্রহ তা জানা যায়। ফার্মাসিউটিক্যাল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন সম্মেলনে অংশ নেয়া বিনিয়োগকারীরা।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কাছে একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছে বৈশ্বিক বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ড। সংস্থাটিকে সার্বিক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ। বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান বলেন, সাধারণত একটি বিনিয়োগ আলোর মুখ দেখতে ১৮ থেকে ২৪ মাস সময় লাগে। এ সময়ের আলোকে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আমরা একটি সুস্পষ্ট পথনকশা তৈরি করব। যেসব বিদেশীর কাছ থেকে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, নির্দিষ্ট সময় পরপর আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করব।

আমাদের জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগ। বিনিয়োগের পূর্বশর্ত হলো নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। সম্মেলনে আমাদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ ও বিনিয়োগে বিরাজমান সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা হয়। যেমন- আমাদের এখানে ট্রেড লাইসেন্স, সরকারের বিভিন্ন দফতরের অনুমতির জন্য সময় ক্ষেপণসহ আরো সমস্যা আছে। বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সমস্যা আছে। আছে যোগাযোগের সমস্যা। পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব ও অর্থায়নে সীমাবদ্ধতাও কম নয়। তবে এবারের সম্মেলন ঘিরে কিছু সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। যেমন- ১. নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ২. তথ্যপ্রযুক্তি ও স্টাটআপ খিতের উন্নয়ন। ৩. বাংলাদেশের প্রধান রফতানি খাত বস্ত্র ও পোশাক খাতের আধুনিকীকরণ ও স্বাস্থ্যসেবা অর্থাৎ চিকিৎসা ও ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের সম্প্রসারণ এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দর ও আঞ্চলিক সংযোগ বিশেষ করে পায়রা ও চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন দক্ষিণ এশিয়ার সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করবে। চীন-বাংলাদেশও মিয়ানমার মধ্যে বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন-

১. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতিগত অনিশ্চয়তা : আসন্ন সাধারণ নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২. নীতিগত ধারাবাহিকতার অভাব (যেমন- ট্যাক্স নীতি, ভিসা জটিলতা) বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ৩. ব্যাংকিং ও অর্থায়নের সঙ্কট : দেশের বর্তমানে ব্যাংক খাতের অবস্থা খুব একটা ভালো নেই, এ প্রেক্ষিতে ঋণের উচ্চ সুদ হার ও নন-পারফর্মিং লোন অর্থনীতিকে চাপে রেখেছে। ৪. বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ৫. অবকাঠামো সীমাবদ্ধতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অর্থাৎ বিদ্যুৎ ঘাটতি, গ্যাস সঙ্কট ও জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা। ৬. রেড টেপিজম ও দুর্নীতি বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। ৭. বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব : বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি শিল্প খাতকে প্রভাবিত করতে পারে। ৮. জলবায়ু ঝুঁকি ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ : বন্যা, লবণাক্ততা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি কৃষি ও অবকাঠামোর জন্য হুমকি।

সুতরাং বিনিয়োগ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের যে দিকগুলো উঠে এসেছে তা নিয়ে সরকার ও বিনিয়োগকারীদের বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে আইন সহজীকরণ, ট্যাক্স ইনসেনটিভ ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করতে হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে হবে।

পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদেরও স্থানীয় অংশীদারিত্ব (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া উচিত। প্রযুক্তি খাতে ফোকাস করে ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করতে হবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিনিয়োগকারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এ গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের মর্মবস্তু ধারণ করা গেলে ভবিষ্যতে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের বেগ পেতে হবে না।

বেশি বিনিয়োগ মানে বেশি কর্মসংস্থান। দেশে বেকারত্বের পরিমাণ অনেক। আমরা যে সময় পার করছি, তা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের যুগ। বেকারত্বের অবসান ঘটানো মানে দেশের অগ্রযাত্রার গিয়ার ওপরে ওঠা। প্রকৃত প্রস্তাবে বাংলাদেশ যে অপার সম্ভাবনা ধারণ করে, গত ৫৩ বছরে সে সম্ভাবনার খুব কম কাজে লাগাতে পেরেছি আমরা। রাজনৈতিক নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাব ও দলীয় স্বার্থ প্রাধান্য দেয়া এ ব্যর্থতার কারণ। বর্তমান সরকারের এই দুই দুর্বলতা নেই। ফলে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা আশা করতে পারি। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সাথে সরকার ও দেশী বিনিয়োগকারীদের একটা নেটওয়ার্কও গড়ে উঠেছে।

সম্মেলনে ২০৩৫ সালের বাংলাদেশের যে রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে, ভবিষ্যতে পলিসির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পৃক্ততার বিষয় দু’টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্মেলনে বিডার নবনিযুক্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সম্মেলন শেষে এটা বোঝা গেছে, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদে পাইপলাইন তৈরি হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের প্রস্তাব বা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের সাথে ধারাবাহিক যোগাযোগ রক্ষা করা হবে, এ বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিনিয়োগকারীরাও কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন। এ চ্যালেঞ্জের প্রধান দু’টি হলো- নীতির ধারাবাহিকতা ও সম্পদের সহজলভ্যতা। এ ছাড়া দুর্নীতিকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক হতে পারে যদি চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা করে সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়।

লেখক : অর্থনীতি বিশ্লেষক ও ব্যাংকার

সূত্র, নয়া দিগন্ত