অর্থনীতি
ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা, দায় কার?
ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুরবস্থা এখন আর গল্পের বিষয় নয়, প্রকৃত সত্য। কিছুদিন আগে আমি কয়েকটি চেক ইস্যু করেছিলাম আমার অফিস থেকে। দুদিন পর আমার সহকর্মী জানাল, স্যার চেক ফেরত পাঠিয়েছে ব্যাংক। অবাক হলাম। বেশি টাকার চেক নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংককে কথায় নয় কাজে প্রমাণ দিতে হবে
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নেতৃত্ব দৃশ্যত আন্তরিকভাবেই ব্যাংকিং খাতে সংস্কার করতে চায়। কিন্তু ইতিমধ্যে তাদের বেশ কিছু অতিকথন জনমনে আশার আলো সঞ্চারের বিপরীতে হতাশা ও অনাস্থার জন্ম দিয়েছে।
জ্বালানি তেল চুরি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন
সরকারি কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের জন্য বরাদ্দ জ্বালানি তেল চুরির অভিযোগ নতুন নয়। বিভিন্ন সরকারি অফিসে এ তেল চুরি নিয়ে আছে সিন্ডিকেটও। তেল চুরির মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
পর্যটনশিল্পে সুদিন ফিরবে কবে?
যেসব দেশে শান্তি বিরাজমান, সেসব দেশেই পর্যটনশিল্প সহজে বিস্তার লাভ করে। কারণ, পর্যটনশিল্পের প্রথম কথাই হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এ ছাড়া পর্যটনে উন্নত দেশগুলোতে পর্যটনের গুরুত্ব অপরিসীম। সেসব দেশে পর্যটনশিল্প হচ্ছে সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত শিল্প।
ইসলামিক ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
ব্যাংক খাত সংস্কারের একটি প্রাথমিক ধাপ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে, যার অধিকাংশ পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ব্যাংক।
ঢাকায় ‘অবৈধ বাস’ নিয়ন্ত্রণে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি
ঢাকায় গণপরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। অবৈধ, অনুমোদনহীন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন অবাধে চলাচল ও ব্যস্ত সড়কে যত্রতত্র থামানোর কারণে অসহনীয় যানজট ও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। এমনকি প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
খেলাপি ঋণের সংকট মোকাবিলায় ট্রাইব্যুনাল গঠন করুন
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত হওয়ার পর গত দেড় মাসে খেলাপি ব্যাংক ঋণ ও পুঁজি পাচার সম্পর্কে যেসব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ হচ্ছে, সেগুলো পুরো জাতিকে স্তম্ভিত করে দিচ্ছে।
‘রাজনৈতিক’ পাইপলাইনে দোষীদের জবাবদিহি করা হোক
বিএনপি সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে হাজার হাজার খাম্বা বসিয়ে জনগণের অর্থের অপচয় করেছে বলে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করত। এ অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য নয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগও ক্ষমতায় এসে একই পথে চলেছে।
রেলের ‘ভাড়া কমিয়ে’ মুনাফা বাড়ানোর আলাপ!
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগে গত ৪ মে রেলপথের রেয়াত বাতিল করে শেখ হাসিনার সরকার। এর প্রতিবাদে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির নেতৃত্বে সারা দেশে স্টেশনগুলোতে প্রতিবাদ সভা করেছি।
ষড়ন্ত্রের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশের ‘পোশাক শিল্প’
৫ আগস্ট স্বৈরশাসক পতন হওয়ার পর নতুন সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পরই দাবি আদায়ের হিড়িক দেখা যায়। সবাই নিজ নিজ দাবি নিয়ে রাজপথে নেমে পড়ে। যারা বিগত ১৫ বছর স্বৈরশাসকের শাসনামলে কোন দাবি উত্থাপন করেননি, তারাও এখন দাবি উত্থাপন করছেন।
সামষ্টিক অর্থনীতির চাপ সামলাতে বিদেশী ঋণ গ্রহণে সতর্ক ও বিচক্ষণ হোন
দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের অন্যতম উৎস বৈদেশিক ঋণ। তবে গত দেড় দশকে বিদেশী উৎস থেকে অস্বাভাবিক হারে ঋণ নেয় তৎকালীন সরকার। ফলে গত বছরের ডিসেম্বরে বিদেশী ঋণের স্থিতি ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।
‘বাজার সিন্ডিকেট’ ভেঙে সীমিত আয়ের মানুষকে একটু স্বস্তি দিন
কথায় বলে, খলের ছলের অভাব হয় না। ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কখনো আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দেন, কখনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বলেন। কিন্তু তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য থাকে, যেকোনো উপায়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে রাখা। তাঁরা এটাও জানেন যে পণ্যের দাম একবার বাড়লে সেটি কমানো কঠিন।
ডিম-মুরগীর বাজারে নৈরাজ্য!
ডিম ও মুরগীর বাজারে রীতিমত নৈরাজ্য চলছে। কোনভাবেই দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বরং দিনের পর দিন পরিস্থিতির অবনতিই হচ্ছে। ফলে দেশের নি¤œ আয়ের মানুষ রীতিমত বেকায়দায় পড়েছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি
নানা উদ্যোগেও বিগত সরকার দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। কারণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুখে নানা উদ্যোগের কথা বললেও কাজকর্মে তার প্রকাশ ঘটতে দেখা যায়নি সে সময়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতাসহ তথ্য জালিয়াতি করে মূল্যস্ফীতির হার কম দেখানোর মতোও ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো এবং পুনর্বিবেচনা
ধরুন বাংলাদেশের ব্যাংক খাত সুস্থ হয়ে উঠেছে, পোশাক শিল্পের রফতানি চুক্তি নবায়ন হয়েছে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হয়েছে এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি মেরামত করা গেছে। এ অবস্থায় কি আমরা মনে করব যে আমাদের অর্থনীতির সব সমস্যা দূর হয়ে গেছে?
ব্যবসা খাতে আস্থা ফেরাতে জরুরি উদ্যোগ নিন
বাংলাদেশের মতো যেকোনো বিকাশমান অর্থনীতির চারটি স্তম্ভ হচ্ছে রপ্তানি, প্রবাসী আয়, বিদেশি সাহায্য আর বিদেশি বিনিয়োগ। আমি কয়েক দিন ধরে নতুন সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মডেলটি বোঝার চেষ্টা করছিলাম।
ভারতের সাথে পেঁয়াজ, ইলিশ এবং বাণিজ্যের নিজস্ব নিয়ম চাই
ভারত থেকে পণ্য আনা সুবিধাজনক বলে আমরা প্রথমেই চাই তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করতে। সে সুযোগ সবসময় থাকে না বলে বিকল্পের খোঁজ করতে হয়। হালে পেঁয়াজ আমদানিতে এটা ঘটছিল। আমরা চীন, পাকিস্তান, এমনকি মিসর থেকে পেঁয়াজ আনছিলাম।
শ্রমিকেরা অনেক কষ্টে দিন পার করছে, তাদের জীবিকার দিকে নজর দিন
বাংলাদেশের শ্রমবাজারের ৮৮-৮৯ শতাংশ এখনো অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ওপর দাঁড়িয়ে। এর মানে হচ্ছে কর্মক্ষম প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষের বিশাল একটা অংশের নিয়মিত কাজের নিশ্চয়তা নেই। এই রূঢ় বাস্তবতায় বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক আর রাজনৈতিক কোনো অস্থিরতা হোক, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন শ্রমজীবী মানুষেরা।
জন–আকাঙ্ক্ষা পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘অর্থনীতি অগ্রাধিকার’ পাক
জরিপের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে জনগণের ধারণা তুলে ধরা হয়। যদিও এর ফলাফল নির্ভর করে জরিপ গ্রহণকারীর উদ্দেশ্য ও প্রশ্নের ধরনের ওপর। এই বিবেচনা মাথায় রেখে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত ‘পালস সার্ভে ২০২৪: জনগণের মতামত, অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক জরিপটির বিশ্লেষণ সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক।
তৈরি পোশাক খাতে বিদেশী ক্রেতাদের ‘আস্থা অর্জনে’ উদ্যোগ নিন
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম মাধ্যম তৈরি পোশাক শিল্প খাত। কিন্তু গত মাসের মাঝামাঝি থেকেই খাতটি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। পোশাক শিল্প-কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভের জেরে শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আলোচনার ভিত্তিতে তা সমাধানও করা হয়েছে।